অনেকেই ইনবক্সে জানতে চায়, কুটুনকে কিভাবে সময় দেই। আমি ওভারল কুটুনের এ্যাক্টিভিটির একটা বর্ণনা দিলাম। ঠিক বেঠিক জানি না, তবে it works well for us.
অফিস থেকে ফিরে বেশিরভাগ সময় আমি ল্যাপটপ নিয়ে থাকি, পড়ি বা কাজ করি। তবে, একই টেবিলে কুটুনও থাকে। বাসায় প্রিন্টার কিনে নিছি, ও যেটা রঙ করতে চায়, প্রিন্ট করে দেই। ইন্টারনেটে প্রচুর ভালো ওয়ার্কশিট, লাইন ড্রয়িং পাওয়া যায়। আমরা ছোটবেলায় হাত ঘুরিয়ে লিখতাম—সেই ফন্টও পাওয়া যায়। একটা স্যাম্পল এখানে দিলাম। এসব থেকে যে সময় বাঁচে, সেগুলো কুটুনকে দেই। কুটুনকে আমরা কলম বা পেন্সিল ধরতে শিখাইনি। দেখে দেখে একাই শিখে গেছে। এরকম "দেখে দেখে শেখা" প্রচুর জিনিস আছে, যেটা ফর্মালি শিখাতে গেলে প্রচুর সময় লাগতো।
আমি কুটুনের সাথে প্রচুর খেলাসুলভ মারামারি করি। ইন্টিমেসি বাড়ানোর এটা একটা উপায়। আর, রেস্টুরেন্টের ভাই, দারাজের ভাই, ইমিগ্রেশনের পুলিশ, সুপারশপের বিলিং এর ভাই—এরকম অনেক খেলা খেলে আমার সাথে। যা ইচ্ছা হয় করে, আমি শুধু পাশে থাকি। মোটামুটি একটা রেগুলার ওয়ার্কিং ডে তে সন্ধ্যা এভাবেই কাটে আমাদের। ছুটির দিনে বোনাস হিসাবে থাকে সাইকেলে করে টইটই করে ঘোরা। আমি চেষ্টা করি, কোথাও গেলে সাথে নিয়ে যেতে। সামাজিকতা শিখলো, পরিস্থিতি অনুযায়ী আচরণ শিখলো। আমরা প্রচুর DIY জিনিসপত্র বানাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুব সুন্দর জিনিস যে হয়—তা না। তবে সুন্দর না হলেও অংশগ্রহণের কারণে বেশ ভালো সময় কাটে। ভালো হোক বা খারাপ হোক, কুটুন মেনে নেয়। খেলনা কেনার রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে এগুলো অনেক সময় বেশ কাজে দেয়, খরচও বাঁচে।
আর, কুটুনের স্কুল অসাধারণ। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান, এমন একটা স্কুল পেয়েছি। ওর স্কুলে অনেকদিন পর্যন্ত কোথাও লিখতে হয়নি আমার বা প্রমার পেশা কী। স্কুলে কেউ জিজ্ঞাসাও করেনি। অনেক স্কুল দেখেছি, শুরুতেই প্রপার ক্লাস মেইনটেন বা টাকাওয়ালা না হলে বাচ্চা ভর্তি নেয় না। আমি গেছিলাম কুটুনকে স্কুলের বিল্ডিং দেখাতে—টি-শার্ট আর স্যান্ডেল পরে, সাথে বাজারের ব্যাগ। আমার বাচ্চাকে তারা সেদিনই আপন করে নিয়েছে। একটা শিশুকে বাবা-মায়ের পেশা বা উপার্জনের ভিত্তিতে ক্যাটাগরাইজ করা হচ্ছে না - এটাই যথেষ্ট ছিল। পরবর্তীতে তাদের আন্তরিকতা এবং অ্যাক্টিভিটি দেখে মনে হয়েছে, সিদ্ধান্ত ভুল হয়নি। স্কুল থেকে কুটুনের ডেভেলপমেন্ট চোখে পড়ার মত। স্কুল থেকে মাঝে মাঝে কিছু হোমওয়ার্ক দেয়, আমরা সেগুলো শেষ করি।
আর, যেটা লিখে শেষ করা যাবে না, সেটা হচ্ছে এই সবকিছুর ব্যাকগ্রাউন্ড সাপোর্ট। প্রমা না থাকলে আমাদের কোনো অস্তিত্ব নাই। She is the very basic entity for which Kutun and I exist <3
প্রমার নামে কুটুনকে একটা কিছু বলে দেখবেন, আপনার পিন্ডি চটকিয়ে ওখানে শ্রাদ্ধ করে দই খেয়ে আসবে। Thus, I am proudly raising a copy of myself :)
লিখেছেন: Ratul Anick Paul, KUET, EEE
Comments
Post a Comment