এ দৌড় কি একটা পরিচয় পেলেই শেষ? না তখন আবার মানদন্ড বদলে যাবে। তখন কার দৌড়টা কখনো শান্তির হয় কখনো হয় অশান্তির।
ধরেন আপনি ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষন পর পানি খাওয়ার সময় ঠিক মনে করতে পারছেন না আপনি কি আদৌও রাতের ওষুধ খেয়েছেন কিনা। একদম ই মনে করা সম্ভব হচ্ছে না।
আচ্ছা এটা তাও তো কয়েক ঘন্টার ব্যাপার। তাহল গত মাসে গত বছরে গত কয়েক বছর আগের ঘটনা আমি মনে করতে পারবো সেটা কিভাবে সম্ভব হয়?
আসলেই সম্ভব হয় না। সম্ভব করার জন্য সেই ঘটনার ছবি বা কোন গল্প খুজে বের করে দেখতে হয়।
এই বেপারটা আমি আগেই খেয়াল করেছিলাম, আমি সকালে কি তরকারি খেয়েছি সেটা মনে করা সম্ভবপর হয় না, এর থেকে কোন ল্যাপ্লাস ট্রান্সফর্ম করার সুত্র মনে রাখাও সহজ।
এখনো মাঝে মাঝে আম্মু কে ফোনে বলি আমি মাছ দিয়ে ভাত খাইলাম, ফোন কাটার পর মনে পড়ে যে আসলে আমি তো মাছ খাই নাই মুরগি খাইছিলাম।
কি মনে হয় এটাকে? শর্ট টার্ম মেমরি লস? নাকি লং টার্ম কোন মেমরি লস?
তবে এরকম কিছুই হবার কথা তো ছিলো না। ২০১৩ সাথে যে গনিত পড়েছিলাম বা ২০১৬ সালে যে সার্কিট করেছিলাম সেটা তো এখনো দেখলে মনে পড়ে বা সলভ করা সম্ভবপর হয়। তাহলে এগুলান ও তো আমার ভুলে যাবার কথা।
২০২০/১৯ এই তো র্যাগ টুর দিলাম আমরা। এখনো আমি গুলায় ফেলি র্যাগ টুর এর যায়গাগুলান এর সাথে কুয়াকাটা বা সুন্দরবন টুর এর যায়গা গুলান।
আসলে এগুলান তো পুনরায় মনে করা হয় কম তাই হয়তো খুব দ্রুত মেমরি থেকে হারায় যায়। আমার স্মৃতি খুব তীক্ষ্ণ নয়। আমাকে একটা জিনিস আত্তস্থ করতে হলে সাধারন একজনের থেকে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। আবার দিয়েও পারা যায় না অনেক সময়।
এটাকে আপনি চাইলে সমস্যা বলতে পারেন। ল্যাপ্টপ এর পাসওয়ার্ড কিন্তু মনে থাকে কিন্তু ডেবিট কার্ড এর পাসওয়ার্ড কিন্তু আমাকে ফোনে সেভ করেই রাখতে হয়। এখন কি করার ই বা আছে আমার।
সব মানুষ ই কোন না কোন দিক থেকে ১৯/২০ হবে। সবাই যদি সব দিক থেকে ২০ হত তাহল তো এত এত বৈচিত্র্য থাকতো না।
এই ধরেন কোথাও গেলেই, ধরে জ্ঞান ভরে দেয়, আবার কেউ কেউ ডেকে নিয়ে যেয়ে জ্ঞান ভরে দিতে চায়! আপনি যখনি শুনেন আমি কোথাও চাকরি করছি না, ইচ্ছা করেই জ্ঞান ভরে ভরে দেন। আমি তো চাই নি সস্তা জ্ঞান। যাদের কাছ থেকে আমার জ্ঞান নেয়ার দরকার হয় তাদেরকে আমি নিজেই বলি, নিজেই নক দেই, নির্লজ্জের মতই হাজার টা প্রশ্ন করি।
কিন্তু এই যে আপনারা আমার মত যারা তাদের সামাজিক পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য ( আমার জানা নেই এটার মানদন্ড কি) আপ্রান চেষ্টা করেই যাচ্ছে, তাদের দিক থেক্র একবার ভাবুন তো, জীবনের ২০/২১ টা বছর শুধু গদবাধা পড়তেই দিন চলে গেছে, না নিজের মনের ডাক শুনেছে না শুনেছে এপ্রেশিয়েশন। সব সময় শুধু দৌড়ের উপর ই রেখেছে এই সমাজ।
এ দৌড় কি একটা পরিচয় পেলেই শেষ? না তখন আবার মানদন্ড বদলে যাবে। তখন কার দৌড়টা কখনো শান্তির হয় কখনো হয় অশান্তির।
তাহলে এইযে ভাই একটা মানুষ, সারাটাজীবন শুধু শুনেই গেলো, তাকে আর কর শোনাবেন? ভাবছেন আপনিও তো শুনেছেন তাহলে শোনাতে দোষ কি।
আপনার আর বাকি সবার গল্প এক নাও হতে পারে তাই আপনি আপনার থেকে যে গল্প শোনাচ্ছেন তা অন্য কারো সাথে নাও মিলতে পারে, তাই শোনানোর থেকে সবাইকে একটা স্পেস দেয়া বেটার, যার দরকার সে নিজে থেকেই শুনে নিবে।
তো আসল কথা হচ্ছে, যে নিজেকে বেকার বলে পরিচয় দিচ্ছে তার গল্প আর আপনার গল্প এক নাও হতে পারে। তার প্রাপ্তি আর আপনার প্রাপ্তি এক নাও হতে পারে। সস্তা জ্ঞান গুলোন এই যুগের ছেলে মেয়ে পছন্দ করে নাহ। এর থেকে ভালো তাদেরকে তাদের মত জ্ঞান আহরন করতে দেন যার কাছ থেকে দরকার তারা আহরন করে নিবে।
কিন্তু আমি আবারো ভুইলা গেছি কি নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম 
Comments
Post a Comment