আপনি কি জানেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার বা বাসায় না থেকে বাইরে থাকবার সব থেকে বড় উপকারিতা টা কি ?
জি হ্যা আপনাকেই বলছি । সব থেকে বড় উপকারিতা টা হচ্ছে মানুষের সাথে মেশা । মানুষকে দেখা ।
মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা । পরিবেশের সাথে মানায় নিতে পারার জন্য প্রস্তুত হওয়া ।
আপনি যদি কষ্ট না পান বাইরে থেকে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন আপনার দেখার এখনো অনেক কিছু বাকি আছে ।
আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে মানুষের সাথে মেশার ধরন কেমন হবে, মানুষকে বোঝার ধরন কেমন হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার উচ্চ শিক্ষায় কাটানো সময়টূকুতে আপনি কতটুকু সেন্স গ্রো করেছেন । কতটুকু জ্ঞান আহরন করেছেন তা কতটুকু কাজে লাগবে তা বলা মুশকিল বা আদৌ কাজে লাগবে কিনা তাও কেউ বলতে পারবে না ।
এই যে ধরেন নতুন নতুন পরিবেশ এ নতুন নতুন পরিস্থিতিতে আপনাকে অনেক নতুন কিছুর সাথে তাল মেলাতে হবে । মানুষকে দেখতে পারবেন শিখতে পারবেন আর সব থেকে ভালো শিখতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে তা হলো স্বার্থপরতা এবং স্বার্থপরদের ব্যবহার বা আচার বৈশিষ্ট্য ।
না আপনাকে পই পই করে হিসাব রাখার দরকার পরবে না কারন শিক্ষাজীবনের পর অনেকের সাথেই আপনার আর দেখাই হবে না বা হলেও কালে ভদ্রে কিন্তু ঐ যে আপনি শিখে গেলেন অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন তা কিন্তু থেকে যাবে ।
যখন বাসায় থাকেন, কি হয় বলেন তো ? পট থেকে বিস্কুট বা ফল বা ফ্রিজ থেকে কোন খাবার বের করে দিতে হয় আপনাকে ? না সবার ক্ষেত্রে না তবে আপনি তুলনা করতে পারেন এর সাথে । মানে আমরা অনেকটা আরাম্প্রিয়তার মধ্যদিয়ে সময়টা পার করি । যে জিনিসটা আসলে এত আরামপ্রিয় না হলে আপনি কিছু শিখতে পারতেন ।
ঠিক সেই আপনি আমি যখন একা বসবাস শুরু করি তখন আশে পাশে থেকে একই সার্ভিস আশা করি । এটা বড় ভুল যদিনা আপনি আপনার লাইফে হলে না থাকেন বা বাইরে না থাকেন । আপনি জানবেন না স্ট্রাগল কাকে বলে ।
যে লোকটা বা মানুষটা আজকে ৩০০০ স্কয়ার ফিট এর বাসাকেও ছোট ভাবছে সে যদি সত্যি হল লাইফে ঐ একরুমে থাকা ৪/৫/৬ জন বা তার বেশির মধ্যে থেকে পার করত তাহলে তার কাছে আজকে আর ছোট মনে হত না ৩০০০ স্কয়ার ফিট অথবা তার চাহিদার একটা লিমিটেশন থাকতো । আবার অনেকে অবশ্য সময়ের সাথে সাথে ভুলে যায় । ভুলে যায় চাহিদা বাড়াতে যেয়ে তাকে বাম হাত ব্যবহার এর প্রয়োজন পড়তে পারে ।
তো এখন যখন ঢাকায় থাকা হয় তখন খাওয়ার সময় কি মনে মনে ভেবে খাওয়া শুরু করি জানেন ? আসলে খাবার ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় ঘন্টা এখনো সময় লাগে । ভাবি যে খাওয়ার মধ্যে বা তরকারির মধ্যে কিছু পেলে যাতে পেট কিছুটা ভরার পরেই পাই !!! সেই আমি ই কিন্তু বাসায় খাওয়ার সময় একটা পাথর টাইপ কিছু খুজে পেলে ঐ খানেই খাওয়া ছেড়ে উঠে যেতাম । এই পরিবর্তন টা কিন্তু হল লাইফ থেকেই শেখা ।
বাসায় হলে তো দিব্যি চিল্লা চিল্লি করে দিতাম, কিন্তু এখন পরিবেশ শিখিয়েছে অনেক কিছু । হ্যা ভাবছেন এরকম কেন হয় । যে রান্না করে সে তো ভালভাবেই করতে পারে । হ্যা তা তো পারেই । কিন্তু সব সময় ভাগ্য ভালো নাও থাকতে পারে । সহ্য ক্ষমতা মানুষ এর কি পরিমান বেড়ে যেতে পারে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবার পরেই বোঝা যায় ।
একটা কথ আছে "যে কুয়েটের ৮ টা সেন্ট্রাল ভাইভা পার করেছে, তাকে কথায় জীবনে আর কেউ অপমানিত করার ক্ষমতা রাখে নাহ ।" তাহলে যদি এর সাথে আরো অনেক কিছু এড করা যায় । যে সব অভিজ্ঞতার কথা আপনি ঐ সময় গুলান পার না করলে বুঝবেন না । আবার অনেকে অবশ্য সেগুলান পান না বা পেলেও ভুলে যান । ভুলে যতই যান, এই সামান্য অভিজ্ঞতাই আপনার দেখার, বিবেচনা করার এবং চলার পথ পরিবর্তন করে দিবে ।
সবার পথ চলা সুন্দর হোক । সবাই পার করা শিক্ষা গুলোন সারাজীবন কাজে লাগাক সেই শুভকামনা রইলো । তবে আর যাই করেন আপনার বর্তমান অবস্থার জন্য যদি ভুলে যান পিছনে কাটানো সময় এর কথা , অস্বিকার করেন তাহলে এটা আপনার জীবনের ব্যার্থতা ।
যারা বাসায় থেকে সারটাজীবন কাটীয়েছেন তারা এখনো পুরো পৃথিবীর সামান্য কঠিন বাস্তবতা আর ক্রয়েলটি এখনো দেখেন নাই । দেখেন দেখবেন আপনার দেখার চোখ খুলে যাবে, উপলব্ধি করার ক্ষমতা বা সিদ্ধান্ত নেবার বেপারে আপনিও বুঝতে পারবেন, মানুষকে বুঝতে পারবেন ।
Comments
Post a Comment