একটা সময় অনেক বই পড়া হতো। কালের পরিক্রমায় আর যান্ত্রিক জীবনের যাতাকলে বই পড়া অভ্যাসটা অনেকটাই হারায় গেছে।
শরৎচন্দ্র র প্রায় সব লেখায় পড়েছি, আজকে আবার "বৈকুন্ঠের উইল" পড়লাম। গল্পগুলোন শতবছর পরেও একই থাকবে। শতবছর পর আবার পড়লেও আপনার ভালো লাগবে 🙂 :
বলা যায় একটা স্বার্থক গল্প। গোকুল চরিত্রটি আজকাল খুজে পাওয়া অসম্ভবপ্রায়। শুরুতে বিনোদ চরিত্রটি নিয়ে ভাবলে আজকাল অহরহ পাওয়া যাবে তবে শেষ দৃশ্যটা আসলে চরিত্রটি স্বার্থক করেছে। বাকি চরিত্রগুলোর মধ্যে বিনোদ চরিত্রটি যথেষ্ট তাৎপর্যপুর্ন। তবে অন্যান্য চরিত্র সেভাবে দাগ ফেলতে না পারলেও স্বার্থকতা আছে প্রত্যেকটির। গোকুল এর স্ত্রী (মনোরমা), শ্বশুর আর মনোরমার ভাই এর চরিত্র এখনকার যুগের সাথেও মিলে যায়। তবে সৎ মা-ভাই হবার পরেও পিতার (বৈকুন্ঠ) র কথা যেভাবে রেখেছে গোকুল তাতে স্বল্পশিক্ষিত গোকুল চরিত্রটি পুরোপুরি স্বার্থক।
টাইপ ফরমেট এ পড়তে ক্লিক করুনঃ https://link.boitoi.com.bd/JLnt

Comments
Post a Comment