বইপড়া-০৩-কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
#বইপড়া০৩
#কৃষ্ণকান্তের_উইল
বঙ্কিমচন্দ্রের একটি স্বার্থক উপন্যাস । পড়িবার শুরুতে ভাবিয়াছিলাম ইহা পড়িবার যো নাই মোর, এত অলংকার এঁর সহিত দন্ত-ভঙ্গকারী শব্দের সম্ভারে পড়িইয়া বুঝিতে গেলে মোর প্রান বুঝি অকালে বাহির হইয়া যায় ।
আসলেই প্রথমে ভাবছিলাম, বইটা পড়ি কিভাবে, বাসায় এঁর হার্ডকপিও আছে তবু ফোনেই পড়লাম টানা ৪ ঘণ্টার মত লাগছে। মাঝখানে একবার খেতে বসে বার বার মাথায় ঘুরছিলো এঁর পর কি হবে , যদিও আমি আগে একবার পড়েছিলাম তবে সেতা মূল পান্ডুলিপি ছিলো না । মূল পান্ডুলিপিটা পড়েন ভালো লাগবে ।
প্রথমেই বলতে গেলে কৃষ্ণকান্ত একটা স্বার্থ চরিত্র , গল্পের প্রারম্বিক দাপটে ইহা মানানসই । তবে তার নেয়া শেষ সিন্ধান্ত অর্থাৎ গোবিন্দলালকে প্রাপ্য সম্পদের সব টুকু তার পত্নী ভ্রমরাকে দিয়ে যাওয়া এটাই মূলত গল্পের একদম টার্নিং পয়েন্ট ।
নায়িকা হিসাবে ভ্রমরা চরিত্রের জুড়ি নেই । তার মৃত্যুটা মেনে নেবার মত না , হয়ত অন্য কোনভাবে সুখের করতে পারতেন তাহলে গতানুগতিক বাংলা সিনেমার মত হত, সব শেষে নায়িকা সুখী । কিন্তু বঙ্কিম কার্যত তা না করে বরং ভালোই সাজিয়েছেন ।
![]() |
গল্পে ভীলেন হিসাবে হরলাল এঁর প্রবেশ আর রোহিণীর অনুপ্রবেশ মূলত মূল কাহিনিতে প্রবেশ করিয়ে দেয় । রোহিণীর যৌবন আর সৌন্দর্য তার মূল চরিত্রটি আড়ালে রাখে একদম গল্পের শেষের দৃশ্য গুলোর আগ পর্যন্ত । তবে ভ্রমরার পিতার চাটুকারিতায় রোহিণী তার মূল কল্পঙ্কিত চরিত্র উপস্থাপন করে যৌবন-সৌন্দর্য এর সৌন্দর্যতা নষ্ট করে দেয় । শেষে রোহিণীও মারা যায় । এতে কিছুটা ব্যালেন্স হয়ে যায় যদিও তহাপি গল্পের মূল চরিত্র গোবিন্দলাল শেষ পর্যন্ত বেচে যান এবং গল্পের শেষ দৃশ্য আসলেই অবার করার মতন যে ঐ দিন গুলোতেও মানুষ এত সুন্দর চিন্তা করে এত সুন্দর গল্প লিখতে পারতো ।
ইহা গতানুগতিক ধারার উপন্যাস নয় । প্রায় অনেক গুলোন দৃশ্যতে বোঝার উপায় থাকে না পাঠকের যে এর পরে কি হবে বা কি হতে চলেছে । চাইলে পড়তে পারেন । ভালো লাগবে আশা করি ।
পড়তে ক্লিক করুন : https://link.boitoi.com.bd/U39L
Comments
Post a Comment