দেখেন আমি যা বলবো তা নিতান্ত আমার মতামত। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে।
সরাসরি উপসংহারে যেতে চাইলে ">>" তে চলে যেতে পারেন।
আমি ২০১২ তে কম্পিউটার কিনেছিলাম। শুরু টা হয়েছিল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে তখন রিসোর্স এতটা এভেইলেবল ছিলো না, টিউটোরিয়াল জিনিসটা এত সহজলভ্য ছিলো না। ফাইন্ড & লার্ন টাইপ। এর পর শিখি পর্যায়ক্রমে এক্সসেস, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট যা পরে কাজে দিছে ভালো, এর মধ্যে এক্সসেস খুব ভালো লেগেছিলো আর পরে এক্সসেল।
এরপর এইচটিএমএল শিখি। তখন এর পর যে সি এস এস বা পিএইচপি শেখা ভালো তা জানতাম ই না। টুকটাক ওয়েব ডিজাইন এর চেষ্টা করেছিলাম, খ্যাত টাইপ 😂।
তারপর প্রগ্রামিং এ শুরু হয় সি দিয়ে। পরে ভার্সিটি তে আসার পর সি++, জাভা শিখি। সব শেষ এ শিখি ফোর্ট্রান আর পাইথন। এছাড়া একটা সময় ডাটা ম্যানুপুলেশন স্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করেছিলাম।
ও হা এছাড়া আমি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর আর ওয়ার্ডপ্রেস এও কাজ করেছি ভালো একটা টাইম, তখন ফ্রিল্যান্স ও করতাম টুকাটাক। এছাড়া একাডেমিকালি ম্যাটল্যাব, পিএস্পাইচ, প্রোটিয়াস, অল্টেরা, সিমুলিংক, মাইক্রউইন্ড, লোগোসফট পি এলসি নিয়ে কাজ করেছি শিখেছি।
আর্ডুইনো দিয়ে প্রজেক্ট ও করেছি ৩-২ তে, তাছাড়া ১-১ থেকেই ইলেকট্রনিকস- আর্ডুইনো বেজড প্রজেক্ট করতাম।
ক্যারিয়ার ক্লাব এ ভালো সময় দিয়েছি, সি আর ছিলাম, জি এস ছিলাম ডিপার্টমেন্ট এ, ইইই ডের মত প্রগ্রাম, আই ত্রিপলি থেকে এরেঞ্জ করা প্রগ্রাম এ অর্গানাইজার + ভলান্টিয়ার ছিলাম। ও আচ্ছা আমি পলিটিক্স ও করেছি হল এ প্রথম বর্ষে ।
এছাড়া ৪-২ তে এটাস্মেন্ট করেছিলাম।
আর পুরো ফোর্থ ইয়ার এ থিসিস এ সব থেকে বেশি সময় দিছি। প্রতিদিন সন্ধা ৬/৮ থেকে রাত ২/৩ টা পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট এ থাকতাম কাজ করার জন্য।
কাজ শিখেছি পড়েছি, আমার কাজ ন্যানো ম্যাটেরিয়াল এর উপর ছিলো। এখনো করি কাজ টুকটাক।
এখন আসল কথায় আসি, আমার রেজাল্ট চেষ্টা করেছি যতটুকু পারা যায় ভালো রাখার আর সাথে সাথে যা কিছু করা যায়। তবে আমি অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি, শেখার জন্য জানার জন্য, আমাকে সুট করে কিনা তা জানার জন্য, আর এই ২+৪, ৬ বছরের কিছু সামান্য অভিজ্ঞতা আমাকে কিছু উপসংহার টানতে সাহা্য্য করেছে। এখন কিছু উপসংহার এ আসি :
>>> ধৈর্য্য না থাকলে এখান থেকে শুরু করা বেটার ঃ
১. অনেক কিছু জানি পারি, কিন্তু কোন কিছু খুব ভালো পারি এটা দরকার। সব জানা ভালো কিন্তু কোন কিছুতে এক্সপার্ট হওয়া খুব ভালো।
২. যেগুলান সব সময় লাগে যেমন ঃ ওয়ার্ড, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট, জেনারেল ইন্টারনেট রিলেটেড কিছু ব্যাসিক জিনিস এসব বিষয়ে কাজ চলে যাবে এমন টাইপ হওয়ার থেকে একটু ভালো পারি এরকম হওয়া ভালো।
৩. আপনার যা ভালো লাগে তা কখনো বাদ দিয়েন না, সেটা অন্য কারো পছন্দ হোক আর না হোক, তবে একাডেমিক দিক ভালো রাখা গেলে ভালো।
৪. যে কোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভালো ভাবে জানা (শুধু জানা নয় কিন্তু ভালো ভাবে জানা ও প্রাক্টিস করা ) খুব দরকার, যেমন আমি সব কিছু সি++ এ করতে ভালোবাসি অনেক কিছু শিখলেও আমার স্ট্রং পয়েন্ট সি ++,
অনেকে সব কিছু পাইথন এ করে আবার অনেকে জাভা তে। আসলে মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার জীবনের আসা ছোট খাটো কাজ গুলোন যখন কোড করে সলভ করতে হয় সেটা পারা যাচ্ছে কিনা সেটা। আর বেশি ল্যাংগুয়েজ জানলে ক্ষতি নাই। তবে একটাকে হাতিয়ার বানানো ভালো। "ও এটা পারে আমি পারি না আমার ও শেখা দরকার, ও ডেটা মাইনিং করে বা মেশিন লার্নিং জানে আমার ও জানা দরকার", না ভাই আপনি ভুল করছেন। এইভাবে শুরু করলে কখনো আপনি শেষ করতে বা শিখতে পারবেন না। হওয়া উচিত এমন, আচ্ছা মেশিন লার্নিং এ তো অনেক ইন্টারেস্টিং কাজ করা যায়, একটু গুগুল করে দেখি কি বা কেমন বা কিভাবে শেখা যায়।
৫. ব্লগ পড়ার অভ্যাস ভালো, দেখেন কোন উত্তর নাই এরকম হওয়ার কথা না, কোথাও না কোথাও থাকবেই। চেষ্টা করেন কাউকে আস্ক করার আগে অন্তত একবার খুজে দেখার।
৬. আপনি এমন কিছু করতে চাচ্ছেন যা আপ্নার আশে পাশে কেউ করেছে তার কাছ থেকে এডভাইস না হোক তার এক্সপেরিয়েন্স টা নিন আপনার পথ খুজে পেতে কম কষ্ট হবে।
৭. আমি সব পারি এই ভেবে থাকলে অবশ্যই আপনি ভুল করছেন আর যদি আপনি এমন কারো কাছ থেকে সাজেশন নিচ্ছেন যিনি সব পারেন বলে আপনার বা তার মনে হয় তাহলেও ভুল করছেন, চেষ্টা করুন স্পেসিফিক জিনিস স্পেসিফিক জানাতে পারবে এমন কারো কাছ থেকে জানতে। আমি ফটোগ্রাফি বা মেশিন লার্নিং পারি না এখন আপনি এসেছেন আমার কাছে কাছে শুনতে তাহলে আমার মনে হয় আমার উচিত সরাসরি পারি না বলে দেয়াই ভালো এবং সাথে সাথে কাউকে রেফার করা ভালো।
৮. আমি যা পারি নাই তা হলো নিজেকে নিজের সাথে কম্পেয়ার করতে কারন আশে পাশের সাথে কম্পেয়ার করা একটা সহজাত প্রবিত্তি পারলে এভোয়েড করেন এটা। নিজে স্যাটিসফাইড কিনা এটাই বড় কথা।
৯. সময় কখনো নষ্ট হয়ে গেছে এটা প্লিজ ভাববেন না। ভাবুন এভাবে আমি এতক্ষন সময় দিয়ে যা জানলাম তাতে অভিজ্ঞতা বাড়লো তবে এই সময়ে আমি অন্য আরেকটু কিছু করলে ভালো হতো হয়তো। চেষ্টা করুন অন্য আরেকটু কিছু করতে যেটা আসলেই আপনার খুব দরকার, করে দেখেন ভালো লাগে কিনা।
১০. সবাইকে শত্রু ভাবার দরকার নাই।পারলে হেল্প করেন না পারলে ক্ষতি করার কি দরকার চলুক না যে যেভাবে চায়, সকলের জন্য শুভ কামনা।
আমি ছোট মানুষ তাই অভিজ্ঞতা বলতে অল্প কিছু সময়। চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা এখনো হয় নি। হলে জানাতে পারতাম। ভালো থাকবেন।
জিকরুল
২ক১৫
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সরাসরি উপসংহারে যেতে চাইলে ">>" তে চলে যেতে পারেন।
আমি ২০১২ তে কম্পিউটার কিনেছিলাম। শুরু টা হয়েছিল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে তখন রিসোর্স এতটা এভেইলেবল ছিলো না, টিউটোরিয়াল জিনিসটা এত সহজলভ্য ছিলো না। ফাইন্ড & লার্ন টাইপ। এর পর শিখি পর্যায়ক্রমে এক্সসেস, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট যা পরে কাজে দিছে ভালো, এর মধ্যে এক্সসেস খুব ভালো লেগেছিলো আর পরে এক্সসেল।
এরপর এইচটিএমএল শিখি। তখন এর পর যে সি এস এস বা পিএইচপি শেখা ভালো তা জানতাম ই না। টুকটাক ওয়েব ডিজাইন এর চেষ্টা করেছিলাম, খ্যাত টাইপ 😂।
তারপর প্রগ্রামিং এ শুরু হয় সি দিয়ে। পরে ভার্সিটি তে আসার পর সি++, জাভা শিখি। সব শেষ এ শিখি ফোর্ট্রান আর পাইথন। এছাড়া একটা সময় ডাটা ম্যানুপুলেশন স্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করেছিলাম।
ও হা এছাড়া আমি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর আর ওয়ার্ডপ্রেস এও কাজ করেছি ভালো একটা টাইম, তখন ফ্রিল্যান্স ও করতাম টুকাটাক। এছাড়া একাডেমিকালি ম্যাটল্যাব, পিএস্পাইচ, প্রোটিয়াস, অল্টেরা, সিমুলিংক, মাইক্রউইন্ড, লোগোসফট পি এলসি নিয়ে কাজ করেছি শিখেছি।
আর্ডুইনো দিয়ে প্রজেক্ট ও করেছি ৩-২ তে, তাছাড়া ১-১ থেকেই ইলেকট্রনিকস- আর্ডুইনো বেজড প্রজেক্ট করতাম।
ক্যারিয়ার ক্লাব এ ভালো সময় দিয়েছি, সি আর ছিলাম, জি এস ছিলাম ডিপার্টমেন্ট এ, ইইই ডের মত প্রগ্রাম, আই ত্রিপলি থেকে এরেঞ্জ করা প্রগ্রাম এ অর্গানাইজার + ভলান্টিয়ার ছিলাম। ও আচ্ছা আমি পলিটিক্স ও করেছি হল এ প্রথম বর্ষে ।
এছাড়া ৪-২ তে এটাস্মেন্ট করেছিলাম।
আর পুরো ফোর্থ ইয়ার এ থিসিস এ সব থেকে বেশি সময় দিছি। প্রতিদিন সন্ধা ৬/৮ থেকে রাত ২/৩ টা পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট এ থাকতাম কাজ করার জন্য।
কাজ শিখেছি পড়েছি, আমার কাজ ন্যানো ম্যাটেরিয়াল এর উপর ছিলো। এখনো করি কাজ টুকটাক।
এখন আসল কথায় আসি, আমার রেজাল্ট চেষ্টা করেছি যতটুকু পারা যায় ভালো রাখার আর সাথে সাথে যা কিছু করা যায়। তবে আমি অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি, শেখার জন্য জানার জন্য, আমাকে সুট করে কিনা তা জানার জন্য, আর এই ২+৪, ৬ বছরের কিছু সামান্য অভিজ্ঞতা আমাকে কিছু উপসংহার টানতে সাহা্য্য করেছে। এখন কিছু উপসংহার এ আসি :
>>> ধৈর্য্য না থাকলে এখান থেকে শুরু করা বেটার ঃ
১. অনেক কিছু জানি পারি, কিন্তু কোন কিছু খুব ভালো পারি এটা দরকার। সব জানা ভালো কিন্তু কোন কিছুতে এক্সপার্ট হওয়া খুব ভালো।
২. যেগুলান সব সময় লাগে যেমন ঃ ওয়ার্ড, এক্সসেল, পাওয়ার পয়েন্ট, জেনারেল ইন্টারনেট রিলেটেড কিছু ব্যাসিক জিনিস এসব বিষয়ে কাজ চলে যাবে এমন টাইপ হওয়ার থেকে একটু ভালো পারি এরকম হওয়া ভালো।
৩. আপনার যা ভালো লাগে তা কখনো বাদ দিয়েন না, সেটা অন্য কারো পছন্দ হোক আর না হোক, তবে একাডেমিক দিক ভালো রাখা গেলে ভালো।
৪. যে কোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভালো ভাবে জানা (শুধু জানা নয় কিন্তু ভালো ভাবে জানা ও প্রাক্টিস করা ) খুব দরকার, যেমন আমি সব কিছু সি++ এ করতে ভালোবাসি অনেক কিছু শিখলেও আমার স্ট্রং পয়েন্ট সি ++,
অনেকে সব কিছু পাইথন এ করে আবার অনেকে জাভা তে। আসলে মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার জীবনের আসা ছোট খাটো কাজ গুলোন যখন কোড করে সলভ করতে হয় সেটা পারা যাচ্ছে কিনা সেটা। আর বেশি ল্যাংগুয়েজ জানলে ক্ষতি নাই। তবে একটাকে হাতিয়ার বানানো ভালো। "ও এটা পারে আমি পারি না আমার ও শেখা দরকার, ও ডেটা মাইনিং করে বা মেশিন লার্নিং জানে আমার ও জানা দরকার", না ভাই আপনি ভুল করছেন। এইভাবে শুরু করলে কখনো আপনি শেষ করতে বা শিখতে পারবেন না। হওয়া উচিত এমন, আচ্ছা মেশিন লার্নিং এ তো অনেক ইন্টারেস্টিং কাজ করা যায়, একটু গুগুল করে দেখি কি বা কেমন বা কিভাবে শেখা যায়।
৫. ব্লগ পড়ার অভ্যাস ভালো, দেখেন কোন উত্তর নাই এরকম হওয়ার কথা না, কোথাও না কোথাও থাকবেই। চেষ্টা করেন কাউকে আস্ক করার আগে অন্তত একবার খুজে দেখার।
৬. আপনি এমন কিছু করতে চাচ্ছেন যা আপ্নার আশে পাশে কেউ করেছে তার কাছ থেকে এডভাইস না হোক তার এক্সপেরিয়েন্স টা নিন আপনার পথ খুজে পেতে কম কষ্ট হবে।
৭. আমি সব পারি এই ভেবে থাকলে অবশ্যই আপনি ভুল করছেন আর যদি আপনি এমন কারো কাছ থেকে সাজেশন নিচ্ছেন যিনি সব পারেন বলে আপনার বা তার মনে হয় তাহলেও ভুল করছেন, চেষ্টা করুন স্পেসিফিক জিনিস স্পেসিফিক জানাতে পারবে এমন কারো কাছ থেকে জানতে। আমি ফটোগ্রাফি বা মেশিন লার্নিং পারি না এখন আপনি এসেছেন আমার কাছে কাছে শুনতে তাহলে আমার মনে হয় আমার উচিত সরাসরি পারি না বলে দেয়াই ভালো এবং সাথে সাথে কাউকে রেফার করা ভালো।
৮. আমি যা পারি নাই তা হলো নিজেকে নিজের সাথে কম্পেয়ার করতে কারন আশে পাশের সাথে কম্পেয়ার করা একটা সহজাত প্রবিত্তি পারলে এভোয়েড করেন এটা। নিজে স্যাটিসফাইড কিনা এটাই বড় কথা।
৯. সময় কখনো নষ্ট হয়ে গেছে এটা প্লিজ ভাববেন না। ভাবুন এভাবে আমি এতক্ষন সময় দিয়ে যা জানলাম তাতে অভিজ্ঞতা বাড়লো তবে এই সময়ে আমি অন্য আরেকটু কিছু করলে ভালো হতো হয়তো। চেষ্টা করুন অন্য আরেকটু কিছু করতে যেটা আসলেই আপনার খুব দরকার, করে দেখেন ভালো লাগে কিনা।
১০. সবাইকে শত্রু ভাবার দরকার নাই।পারলে হেল্প করেন না পারলে ক্ষতি করার কি দরকার চলুক না যে যেভাবে চায়, সকলের জন্য শুভ কামনা।
আমি ছোট মানুষ তাই অভিজ্ঞতা বলতে অল্প কিছু সময়। চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা এখনো হয় নি। হলে জানাতে পারতাম। ভালো থাকবেন।
জিকরুল
২ক১৫
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
Comments
Post a Comment